বেসরকারি চাকরিজীবীদের আয়কর রিটার্ন ২০২৫-২৬
✅আয়কর বর্ষ: ২০২৫-২৬
🎯 বেসরকারি চাকুরিজীবী কর যোগ্য আয় পরিগননায় বাদযোগ্য অংক ৪.৫ লক্ষ টাকা হতে বাড়িয়ে ৫ লক্ষ করা হয়েছে।
🎯 এতে করে যাদের মোট চাকুরি থেকে আয় ৪৩.৫ লক্ষ থেকে কম তাদের সবার জন্য ভাল হয়েছে।
🎯 যাদের মোট চাকুরি থেকে আয় ৪৩.৫ লক্ষ এর চেয়ে বেশি তাদের ৩০% স্লাবে যাওয়ায় করের পরিমান বেড়ে যাবে।
এই বছর কর কত কম বা বেশি দিতে হবে, সহজ আয়কর ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে দেখানো হয়েছে।
✅আয়কর বর্ষ: ২০২৬-২৭
🎯সব শ্রেণীর কর দাতা জন্য আগের চেয়ে ২৫ হাজার টাকা বাড়ানো হয়েছে। যেমন পুরুষের ৩.৫ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে ৩.৭৫ লক্ষ করা হয়েছে। 🎯যাদের মোট করযোগ্য আয় ৩.৭৫ লক্ষ বা কম শুধু তাদের জন্য ভাল হয়েছে।
🎯যাদের ৩.৭৫ লক্ষ থেকে বেশি তাদের জন্য প্রথম থেকে ১০% স্লাব চালু থাকায় কর বেশি দিতে হবে
অনলাইনে বেসরকারি চাকরিজীবীদের আয়কর রিটার্ন ভিডিও টিউটোরিয়াল
চাকরি হইতে আয়- আইনে যা বলা আছে
বেসরকারি চাকরিজীবীদের বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। করযোগ্য আয় থাকুক, না-ই থাকুক; তাঁদের রিটার্ন জমা দিতেই হবে। তাঁরা সঠিকভাবে রিটার্ন জমা দিয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন ওই করদাতা, সেই প্রতিষ্ঠানের ডিসেম্বর মাসের বেতন বাবদ খরচের হিসাব-নিকাশ যাচাই-বাছাই করবেন কর কর্মকর্তারা।
৩২। (১) উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, চাকরি হইতে আয় অর্থে নিম্নবর্ণিত আয়সমূহ অন্তর্ভুক্ত হইবে, যথা:-
(ক) চাকরি হইতে প্রাপ্ত বা প্রাপ্য যেকোনো প্রকার আর্থিক প্রাপ্তি, বেতন ও সুযোগ-সুবিধা;
(খ) কর্মচারী শেয়ার স্কিম হইতে অর্জিত আয়;
(গ) কর অনারোপিত বকেয়া বেতন; বা
(ঘ) অতীত বা ভবিষ্যতের কোনো নিয়োগকর্তা হইতে প্রাপ্ত যেকোনো অঙ্ক বা সুবিধা।
(২) নিম্নবর্ণিত প্রাপ্তিসমূহ চাকরি হইতে আয় এর অন্তর্ভুক্ত হইবে না, যথা:-
1[(ক) শেয়ারহোল্ডার পরিচালক নহে এইরূপ অন্য কোনো কর্মচারীর হৃদযন্ত্র, বৃক্ক, চক্ষু, যকৃত ও মস্তিষ্ক সংক্রান্ত অপারেশন, কৃত্রিম অঙ্গ প্রতিস্থাপন এবং ক্যানসার সংক্রান্ত চিকিৎসা ব্যয় বাবদ প্রাপ্ত অর্থ;]
(খ) সম্পূর্ণরূপে এবং কেবল চাকরির দায়িত্ব পরিপালনের জন্য প্রাপ্ত এবং ব্যয়িত যাতায়াত ভাতা, ভ্রমণ ভাতা ও দৈনিক ভাতা 2[;]
3[(গ) কোম্পানি কর্তৃক গোষ্ঠী বীমা বাবদ কোনো কর্মচারীর পক্ষে বীমা কোম্পানিকে পরিশোধিত প্রিমিয়াম।]
ব্যাখ্যা।-এই ধারার উদ্দেশ্যপূরণকল্পে,
(ক) “বেতন” অর্থ কর্মচারী কর্তৃক চাকরি হইতে প্রাপ্ত যেকোনো প্রকৃতির অঙ্ক এবং নিম্নবর্ণিত বিষয় ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে, যথা:-
(অ) যেকোনো বেতন, মজুরি বা পারিশ্রমিক;
(আ) যেকোনো ভাতা, ছুটি ভাতা, ছুটি নগদায়ন, বোনাস, ফি, কমিশন, ওভারটাইম;
(ই) অগ্রিম বেতন;
(ঈ) আনুতোষিক, অ্যানুইটি, পেনশন বা ইহাদের সম্পূরক;
(উ) পারকুইজিট;
(ঊ) বেতন বা মজুরির পরিবর্তে প্রাপ্তি অথবা বেতন বা মজুরির অতিরিক্ত প্রাপ্তি;
(খ) “বেতন বা মজুরির পরিবর্তে প্রাপ্তি” অথবা “বেতন বা মজুরির অতিরিক্ত প্রাপ্তি” অর্থে অন্তর্ভুক্ত হইবে-
(অ) চাকরির অবসানের কারণে প্রাপ্ত যেকোনো প্রকার ক্ষতিপূরণ, উহা যে নামেই অভিহিত হউক না কেন;
(আ) ভবিষ্য তহবিল বা অন্য কোনো তহবিলে কর্মচারীর অনুদানের অংশ ব্যতিরেকে অবশিষ্ট অংশ;
(ই) চাকরির চুক্তির শর্তাবলির পরিবর্তনের ফলে প্রাপ্ত অঙ্ক বা সুবিধাদির ন্যায্য বাজার মূল্য;
(ঈ) চাকরিতে যোগদানকালে বা চাকরির অন্য কোনো শর্তের অধীন প্রাপ্ত অঙ্ক বা সুবিধাদির ন্যায্য বাজার মূল্য;
(গ) “পারকুইজিট” অর্থ নিয়োগকর্তা কর্তৃক কর্মচারীকে প্রদত্ত ইনসেনটিভ বোনাসসহ যেকোনো প্রকারের পরিশোধ বা সুবিধা, তবে নিম্নবর্ণিত পরিশোধসমূহ ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না, যথা:-
(অ) মূল বেতন, বকেয়া বেতন, অগ্রিম বেতন, উৎসব ভাতা, ছুটি নগদায়ন ও ওভারটাইম;
(আ) স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিল, অনুমোদিত পেনশন তহবিল, অনুমোদিত আনুতোষিক তহবিল ও অনুমোদিত বার্ধক্য তহবিলে প্রদত্ত চাঁদা;
4[(ই) কোম্পানি কর্তৃক গোষ্ঠী বীমা বাবদ কোনো কর্মচারীর পক্ষে বীমা কোম্পানিকে পরিশোধিত প্রিমিয়াম;]
(ঘ) “মূল বেতন” অর্থ মাসিক বা অন্য প্রকারে প্রদেয় বেতন যাহার ভিত্তিতে অন্যান্য ভাতা এবং সুবিধা নির্ধারিত হয়, তবে নিম্নবর্ণিত ভাতা বা সুবিধাদি ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না, যথা:-
(অ) সকল প্রকার ভাতা, পারকুইজিট, অ্যানুইটি, বোনাস ও সুবিধা; এবং
(আ) নিয়োগকর্তা কর্তৃক কর্মচারীর বিভিন্ন তহবিলে প্রদত্ত চাঁদা;
(ঙ) “নিয়োগকর্তা” অর্থ যিনি নিয়োগ দান করিয়া থাকেন এবং বেতন-ভাতাদি পরিশোধ করিয়া থাকেন বা নিয়োগকর্তার পক্ষে উক্ত কাজ সম্পন্নকারী ব্যক্তিও নিয়োগকর্তা হিসাবে গণ্য হইবেন।